পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে ১৩ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান ৩০ বছর বয়সী আনিসুল হক মিলন। একবারও দেশে আসেননি তিনি। কিছুদিন আগে পারিবারিকভাবে মোবাইল ফোনে বিয়ে করেন মিলন। কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরে ধুমধাম করে নববধূকে ঘরে তোলার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মার্চ) জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মিলন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের রামানন্দপুর গ্রামের মাঝি বাড়ীর বাহার মিয়ার ছেলে। গত সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় দক্ষিণ আফ্রিকার জর্জ হাসপাতালে মারা গেছেন।
এর আগে, শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে বাংলাদেশে আসার জন্য জোহানেসবার্গ বিমানবন্দরে আনিসুর রহমান মিলনকে এগিয়ে দিতে আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় চার বন্ধু ও বন্ধুর ছেলে ঘটনাস্থলে মারা গেলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি। পরে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জজ হাসপাতালে সোমবার রাতে মারা যান। মিলনের এমন মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আনিসুল হক মিলনের ছোট ভাই রিমন বলেন, আফ্রিকা যাওয়ার পর গত ১৩ বছরে একবারও দেশে আসেনি মিলন। ১০ দিন আগে ভাইয়ের সঙ্গে খালাতো বোন শাহেদা আক্তারের সঙ্গে পারিবারিকভাবে মোবাইল ফোনে বিয়ে করে। কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরে আনুষ্ঠানিকভাবে নববধূকে ঘরে তোলার কথা ছিল। কিন্তু সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি