ফেনীর দাগনভূঞায় মিথ্যে অভিযোগে চাকুরীচ্যুত ডাক রানার নুরুল আমিন মামলা থেকে খালাস পেলেও আজও ফিরে পাননি তার চাকুরী। পরিবার ও মামলার খরচ চালাতে পৈত্তিক সম্পত্তি বিক্রি করে বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে তার চলছে মানবেতর জীবন যাপন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দাগনভূঞা উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের সুলতান আহম্মদের ছেলে নুরুল আমিন ১৯৮৩ সালে ডাক বিভাগের অধিনে পিয়ন পদে যোগদান করেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ডাক রানার পদে তিনি চাকুরী করে আসছেন। ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর ফেনীস্থ ডাক বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের নিচ তলায় কর্মচারী ইউনিয়নের অফিসে কে বা কারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত কয়েকটি পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। ঘটনার সময় নুরুল আমিন ছুটিতে থাকলেও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সম্পাদক মুছা আলম তার বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ নুরুল আমিনকে গত ৩১ জুলাই ২০১৬ তারিখে চূড়ান্তভাবে চাকুরীচ্যুত করেন। পরে আদালত স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে চাকুরীচ্যুত নুরুল আমিনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। আদালত কতৃক খালাসের কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও ডাক ও টেলি যোগাযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঘুরে আজও চাকুরী ফিরে না পাওয়ায় স্ত্রী ও ৬ সন্তান নিয়ে নুরুল আমিন বেকায়দায় পড়েছেন। উপায়ান্তর না পেয়ে চাকুরী ফিরে পেতে নুরুল আমিন ডাক বিভাগের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে নুরুল আমিন বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার চাকুরী ফিরে পেতে প্রার্থনা করছি। অন্যথায় আমার পরিবার নিয়ে আমাকে কঠিন সময় পার করতে হবে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি