ফেনীতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ তথা সার্বিক উন্নয়নে শিশু একাডেমীর কার্যক্রম দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাড়া ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। ৪ বছর আগে নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্ধ পেলেও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ফাইলটি চাপা পড়ে যাওয়ায় ভবন নির্মাণ কাজ ঝুলে আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৩ সালে ফেনীতে শিশু একাডেমীর কার্যক্রম শুরু হয়। জেলা পরিষদ ভবনের নিচ তলায় ৬ কক্ষ ভাড়া নিয়ে চলে এর কার্যক্রম। মাসিক হারে ভাড়া দেয়া হয় সাড়ে ৫ হাজার টাকা। সংগীত, নৃত্য, চিত্রাংকন ও আবৃত্তি বিভাগে সাড়ে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। এতে সরকারের শিশু উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে বিঘœ ঘটে।
একটি সূত্র জানায়, ২০১০ সালে শিশু একাডেমীর নিজস্ব ভবন নির্মাণে জায়গা বরাদ্ধের জন্য শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুল আবছার ভূঞা তৎকালীন জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন জানান। এর অংশ হিসেবে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শহরের রাজাঝীর দীঘির পশ্চিম-উত্তর পাড়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সংলগ্ন সম্মুখস্থ স্থানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১নং খতিয়ানের ৮নং দাগের ৬৬শতক জায়গা বরাদ্ধ দেয়া হয়। একই বছরের ১৫ মে তৎকালীন সদর উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো শান্তি জীবন চাকমা সংশ্লিষ্টদের উল্লেখিত জায়গার দখল বুঝিয়ে দেয়। জেলা প্রশাসন জায়গাটি ছাড় দিলেও অধ্যাবধি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।
এদিকে শীঘ্রই ভবন নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল ফেনী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালায় তৎকালীন মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম।
জানা গেছে, সারাদেশে ১৫টি জেলায় শিশু একাডেমীর নিজস্ব স্থায়ী ভবন নির্মাণ করা হবে। এ সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ফেনী জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুল আবছার ভূঞা জানান, ভবন নির্মাণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সম্পাদনা : এএএম/এটি