ফেনী সদর উপজেলা কালিদহ ইউনিয়নের উত্তর মাইজবাড়িয়া গ্রামে জায়গা জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এক পরিবারের বসত ঘরে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বর্তমানে হুমকি-ধমকিতে প্রাণ ভয়ে আত্নরক্ষায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওই পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর মাইজবাড়িয়া গ্রামের সুলতান হাজী বাড়ীর আবু আহম্মদ গংদের সাথে বশির আহম্মদ গংদের মৌরশি সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। বিষয়টি কালিদহ ইউনিয়ন পরিষদের পল্লী আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ বিরোধের জের ধরে গত ২৭ মার্চ শুক্রবার রাতে বশির আহম্মদের ছেলে হৃদয় রহমানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত ভাবে আবু আহম্মদের বশত ঘরে হামলা চালিয়ে ঘর ভাংচুর করে। এ সময় গোয়াল ঘর থেকে চারটি গরু, বসত ঘরে থাকা স্বর্নালংকার, ইসলামী ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের দুটি চেক বই ও ২টি দামি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়। হামলায় বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীরা আবু আহম্মদ (৬৭), তার পুত্রবধু রোজিনা আক্তার (২৪) ও মনির আহম্মদ (৬০) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়।
এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে আবু আহম্মদ ও তার পরিবারের লোকজন বসতবাড়ী ছেড়ে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কালিদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম জানায়, তাদের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। বিষয়টি মিমাংসায় পল্লী আদালত উভয় পক্ষের সম্মতিতে আমিন দিয়ে মাপঝোপের সিদ্ধান্ত হয়, কিন্তু চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর মাপযোপ করা হয়নি, এরইমধ্যে তারা উভয়পক্ষ হামলায় লিপ্ত হয়।
জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার এস.আই নাছির উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আহদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এপি/এটি