শহর প্রতিনিধি:
ফেনীতে রত্না হত্যাকারীর ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিভিন্ন শিক্ষা্ প্রতিষ্ঠান ও ফেনী পৌরসভার কর্মকর্তারা। রবিবার সকালে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধনে রত্নার বিদ্যালয় ছাড়াও মেজর সালাউদ্দিন মমতাজ উচ্চ বিদ্যালয়,মেহেদী সাঈদী পৌর বিদ্যানিকেতন ও রত্নার পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মেজর সালাউদ্দিন মমতাজ উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক শামীম আক্তার,মেহেদী সাঈদী পৌর বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক,ফেনী পৌর বালিকা বিদ্যানিকেতন এর প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম ও নিহতের বাবাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ। মানববন্ধনে বক্তারা বিপ্লবের ফাঁশির দাবী জানান। এরপর তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন।
প্রসঙ্গত; বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের নাজির রোড এলাকায় শিরিন সুলতানা রত্নাকে তার বাসায় জবাই করে হত্যা করে বিপ্লব। নিহত শিরিন ফরহাদ নগর ইউনিয়নের সুলতান পুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী আনিসুল হকের মেয়ে। সে শহরের পৌর বালিকা বিদ্যা নিকেতন থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল । বিপ্লব লক্ষীপুরের চর আলেকজান্ডারের শাহপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও আ,স,ম আবদুর রব কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। শহরের বারাহিপুর এলাকার আনোয়ার উল্যাহ সড়কের সুলতান হক ম্যানশানের ৫তলা বিল্ডিং এর তৃতীয় তলায় একটি ঘরে মায়ের সাথে থাকতো এসএসসি পরীক্ষার্থী শিরিন সুলতানা রত্না। বৃহস্পতিবার বিকেলে মা সালমা আক্তার এক আত্নীয়ের বাড়িতে গেলে মেয়ে রত্না বাসায় একা ছিলো। ওই বাড়ির চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়ার ভাগিনা বিপ্লবকে সন্ধ্যায় মেয়েটির ঘর থেকে বের হতে দেখে অপর বাসার বাসিন্দারা। এসময় ছেলেটির শার্টে রক্তের দাগ দেখতে পেয়ে তারা তাকে আটক করে। পরে ফ্লাটের অপর বাসিন্দারা মেয়েটির ঘরে ঢুকলে বিছানার উপর রত্নার গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে। এঘটনায় নিহতের মা সালমা আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।