ফেনীর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকে কিছু পণ্য মজুত রেখে বাজেটে দাম বাড়ার প্রত্যাশা করছেন। বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেক দোকানদার বিড়ি, সিগারেট, জর্দা বা তামাকজাতীয় পণ্য মজুত করেছেন। শহরের কিছু ব্যবসায়ী আমদানি করা পেঁয়াজ, লবণ, মধু, দুধ, দুগ্ধজাতীয় পণ্য, চকলেট মজুত করেছেন বাড়তি লাভের আশায়। এ ছাড়া মোটরসাইকেল ব্যবসায়ীরাও বেশি মোটরসাইকেল মজুত করেছেন।
বাজেট নিয়ে ফেনীর ক্ষুদ্র মজুতদারদের নজর কেবল কোন কোন পণ্যের দাম বাড়তে বা কমতে পারে সেদিকে। এ ছাড়া, কত টাকা বাজেট, কোন সরকার বাজেট পেশ করবে, সেটি নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকে কিছু পণ্য মজুত রেখে বাজেটে দাম বাড়ার প্রত্যাশা করছেন। বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেক দোকানদার বিড়ি, সিগারেট, জর্দা বা তামাকজাতীয় পণ্য মজুত করেছেন। ফেনী শহরের কিছু ব্যবসায়ী আমদানি করা পেঁয়াজ, লবণ, মধু, দুধ, দুগ্ধজাতীয় পণ্য, চকলেট মজুত করেছেন বাড়তি লাভের আশায়। এ ছাড়া মোটরসাইকেল ব্যবসায়ীরাও বেশি মোটরসাইকেল মজুত করেছেন।
গ্রামের চায়ের দোকানাগুলোতে এখন চলছে বাজেট আড্ডা। সে আড্ডার বিষয়গুলো একদমই সাধারণ।
ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের চা-দোকানে বৃহস্পতিবার সকালে বাজেট আলোচনা চলছিল। দোকানদার গিয়াস উদ্দিন জানালেন, তিনি বেশ কিছু সিগারেট মজুত করেছেন। সিগারেটের দাম বাড়বে বলে তিনি শতভাগ নিশ্চিত। এখন বাজেট ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছেন।
একই দোকানে বসা স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বাজেটে আমাদের জন্য সহযোগিতার ঘোষণা আসে কি না, সে জন্য বাজেটের প্রতি নজর রাখছি।’
করোনা সংকটে চাকরি হারানো গোলাম হোসেন সবুজ বলেন, ‘আমিসহ দেশের অধিকাংশ মানুষ এখন বেকার হয়ে গেছে। সরকারের উচিত হবে বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রাখা। অল্প বেতনের হলেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে মানুষ অন্তত খেয়ে বাঁচতে পারবে।’
একই এলাকার মফিজের চা-দোকানেও চলছে বাজেট আড্ডা। সেখানে চলছে চালের দাম নিয়ে আলোচনা।
স্থানীয় রিকশাচালক আবু তাহের বলেন, ‘আমি চাল ৫০ কেজি কিনে রেখেছি। যদি বাজেটে চালের দাম বাড়ে তাহলে কয়দিন সুবিধা পাব।’
ফেনী শহরের বিভিন্ন দোকানমালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এবার বাজেটের আগে তারা খুব বেশি পণ্য মজুত করেননি। কারণ, করোনাকালীন কেমন বাজেট হয় সেটি নিয়ে দ্বন্দ্বে আছেন তারা।
ফেনী শহরের কাপড় ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ জানান, ‘করোনাকালীন বাজেট কেমন হয় সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। তবে সামান্য কিছু শাড়ি কিনে রেখেছি। বস্ত্র খাতে দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে। যদি বাড়ে তাহলে হয়তো কিছু সুযোগসুবিধা পাব।’
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি