একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী এমপিরা শপথ নেবেন আজ বৃহস্পতিবার। এদিন বেলা ১১টায় বিধি মোতাবেক দশম সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে নতুন এমপিদের শপথ পাঠ করাবেন।
বুধবার সংসদ সচিবালয়ের উপ-সচিব মর্যাদার এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট জাতীয় সংসদে পৌঁছেছে। এটি ১ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত। গেজেট প্রকাশের ৩ দিনের মধ্যে স্পিকারকে শপথ পড়াতে হয়।
বিধি অনুযায়ী, বর্তমান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী একাদশ সংসদে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় তিনি আগে এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন। পরে নির্বাচিত অন্যদের শপথ পড়াবেন। সংবিধান অনুযায়ী স্পিকার নিজেই নিজের শপথ পড়াবেন। শপথ শেষে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা বৈঠক করে নিজেদের সংসদ নেতা নির্বাচন করবেন।
সংসদ সচিবালয় জানায়, চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন সংসদের অধিবেশন বসবে। আগামী ২৮ জানুয়ারি চলতি দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। ২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে গঠিত দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন ২৯ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল।
সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে [অনুচ্ছেদ ১৪৮ (২) ধারা] শপথের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে সংসদের অধিবেশন [অনুচ্ছেদ ৭২ (২) ধারা] বসারও বিধান রয়েছে।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সাংবাদিকদের জানান, সব থেকে বেশি আসন পাওয়া আওয়ামী লীগের এমপিরা প্রথম শপথ নেবেন। এমপিদের সংখ্যা বেশী হওয়ায় কয়েকভাগে তাদের শপথ পড়ানো হতে পারে। তাদের শপথ গ্রহণ শেষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া জাতীয় পার্টি ও এরপর অন্যান্য দলের এমপিরা শপথ নেবেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, শপথ গ্রহনের জন্য এরই মধ্যে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের জানানো হয়েছে। নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হবেন। নতুন স্পিকারকে রাষ্ট্রপতি শপথ পাঠ করাবেন।
এদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী আমরা বিরোধী দল হতে পারবো, এতে কোন সমস্যা নাই। মহাজোটের সঙ্গে আলোচনা করে ও দলের প্রেসিডিয়ামের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবো আমরা বিরোধী দলে যাবো না সরকারের অংশ থাকবো।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই জিতেছে ২৫৭টি আসনে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ৭টি আসন। যার মধ্যে বিএনপি এককভাবে পেয়েছে ৫টি। নির্বাচনে এককভাবে ২২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েছে জাতীয় পার্টি।
সম্পাদনা : এএএম/জেডআর