ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের শর্শদী গ্রামে ডা. রফিকের বাড়ির সড়কে নির্মানাধীন কালভার্টটি কে বা কারা করেছে জানেন না ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঞা। মঙ্গলবার বিকালে শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবী করেন। তিনি বলেন, কালভার্টটিতে সেন্টারিং এ বাঁশ ব্যবহার হয়েছে। এছাড়া কলা গাছের যে অংশ বিশেষ দেখা গেছে তা দেয়া হয়েছে সাপোর্টিং হিসেবে। কাজটি ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা সরকারী নয় দাবী করে তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয় লোকজন এটি পুন:নির্মান করেছে। তবে কারা করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জানে আলম বলেন, কে বা কারা করেছে তিনি জানেন না।
স্থানীয় চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে জানান, ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে এক সমাজসেবী ব্যক্তির উদ্যোগে এই ইউ ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়। এটি ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ বা সরকারী প্রকল্পের বরাদ্ধের কোন কাজ নয়। ড্রেনটি ভাঙ্গা দেখে ওই ব্যক্তি তার নিজ অর্থায়নে সঠিক নিয়মে রড, সিমেন্ট, কংক্রিট, বালু ব্যবহার করে তৈরী করার খরচ বহন করেছেন। আর এই সব ছোট খাটো কাজ গুলোর জন্য এই ধরনের সেন্টারিং ব্যবহার করা হয়। ড্রেন জমাট বেধে গেলে তারপর নিচে বাঁশের সেন্টারিং খুলে ফেলা হবে। অহেতুক কিছু অসাধু ব্যক্তি এই ইউ ড্রেন নিয়ে না বুঝেই না দেখেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা কালভার্টটি পরিদর্শন করেন। তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্মান শ্রমিককে তার কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, কালভার্টটি নির্মান বাবদ তাকে ৫ হাজার টাকা মজুরী দেয়া হয়েছে। তবে কে দিয়েছে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে সে কারো নাম পরিচয় জানাতে পারেনি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন সুলতানা জানান, ছবি দিয়ে কে বা কারা অপপ্রচার করছে। তিনি অপপ্রচার ও গুজব থেকে দূরে থাকার আহবান জানান। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে শ্রমিকরা শাবল দিয়ে ড্রেনের পাশের অংশ ভেঙ্গে দেখান। এসময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মাস্টার আলী হায়দার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি করিম উল্যাহ বিকম, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি এবিএম সেলিম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরী, স্থানীয় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মিল্লাদুর রহমান, স্থানীয় সমাজসেবক আবু বক্কর, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি নুর হোসেন সোহাগ ও মো. হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনা : এএএম/এটি