আজ

  • শুক্রবার
  • ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনাগাজীর নিন্মাঞ্চল ভারী বর্ষণে প্লাবিত

  • সোনাগাজী প্রতিনিধি
  • ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ফেনীর সোনাগাজীর উপকূলীয় এলাকার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খালগুলোতে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ২৫ গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দূর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা। তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজ তলাসহ মৌসুমি ফসল ও শাবসবজি। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

    শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারী বর্ষন আর বড় ফেনী নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় উপকূলীয় নিন্মাঞ্চাল প্লাবিত হয়েছে। তবে যান মালের তেমন ক্ষতি না হলেও উপজেলার বদর মোকাম খাল, শুকুনীয়া খাল, সোনাগাজীর ডাঙ্গীর খালসহ বেশ কয়েকটি খালে কিছু অসাধু মৎস্যজীবি মাছ ধরার জন্য বাঁধ দিয়ে পানি চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ করে দেওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার চর চান্দিয়া, চর দরবেশ, মতিগঞ্জ, বগাদানা, সোনাগাজী সদর, আমিরাবাদসহ ছয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্তত ২৫টি গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় জনদূর্ভোগ বেড়ে গেছে। এছাড়া ভারী বর্ষণে কয়েকটি সড়কের পিসঢালাই নরম হয়ে ওঠে যেতে দেখা গেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে বীজতলাসহ আমনধান ও মৌসুমী শাক-সবজি।

    চর চান্দিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুর নবী জানান, অপরিকল্পিত ভাবে খাল খনন ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় কিছু অসাধূ লোক খালের উপর বাঁধ দিয়ে পানি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করার কারনে গ্রাম গুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তার ১০শতক জমির আমনের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

    শাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম জানান, খালের উপর দেওয়া বাঁধগুলো দ্রুত অপসারণ করা না হলে জনদূর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে। এতে করে ফসল ও গবাদিপশুর খাবার সংকটসহ জানমালেরও ক্ষতি হবে।

    চর চান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন জানান, তার ইউনিয়নের কয়েকটি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করে যে সব স্থানে খালের উপর বাঁধ আছে দ্রুত সে বাঁধগুলো অপসারন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে দিবেন।

    জানতে চাইলে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নুর নবী বলেন, সোনাগাজী উপজেলার খালগুলোতে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচলে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনসহ দ্রুত বাঁধগুলো কেটে পানি চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হবে।

    সোনাগাজী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাজী শফিউল ইসলাম বলেন, উপজেলায় ১২ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৭ হেক্টর ধান এবং ২ হেক্টর মৌসুমি ফসল ও সবজি পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ফসল রক্ষায় মাঠে কাজ করছেন।

    সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম জহিরুল হায়াত বলেন, ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে বেশ কিছু এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি খালে বাঁধ থাকায় সময় মতো পানি নামতে পারছে না। খালের উপর দেওয়া বাঁধগুলো দ্রুত অপসারনের জন্য তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে নির্দেশ দিয়েছে। প্রয়োজনে তিনি নিজে গিয়ে বাঁধ কেটে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

    ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090