ফেনীতে জনস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হানা দিয়েছে ফেনী পৌরসভা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনী পৌরসভার পরির্দশন টিমের নের্তৃত্ব দেন কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী। এসময় কয়েকটি হাসপাতালে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থা দেখে তারা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রথম বারের মতো সতর্ক করে দেয়া হয়।
ফেনী পৌরসভার মেডিকেল অফিসার কৃষ্ণপদ সাহা জানান, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শহরের কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কনসেপ্ট হাসপাতালে ট্রেড লাইসেন্স নেই, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেই, মূল্য তালিকা ঠিক থাকলেও ল্যাব রুমে অপরিস্কার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভালো নয়। অমিন উল্লাহ মেডিকেল সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স নেই, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থাপনা নেই, বর্জ্য ব্যবস্থা ভালো নয়, ল্যাব অপরিস্কার রয়েছে। কসমোপলিটন হাসপাতালের সামনে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর, দুগন্ধ ছড়াচ্ছে। সেখানে সরকার ও জেলা হাসপাতাল মালিক সমিতির নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি বেশি আদায় করছে। রক্ত কালেকশান রুমের নোংরা পরিবেশ দুগন্ধ ছড়াচ্ছে, তাদের ট্রেড লাইসেন্সও নেই। এছাড়াও তারা হাসপাতালের লাইসেন্স করে একই লাইসেন্সে লতিফ টাওয়ারে কসমোপলিটন ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে দুটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।
এদিকে গ্রীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স নেই, মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করছে, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেই, ল্যাবে নোংরা পরিবেশ। বায়োজিদ হেলথ সার্ভিসে ট্রেড লাইসেন্স ঠিক থাকলেও সমিতির নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি টাকা আদায়, ল্যাব রুমে নোংরা পরিবেশ, দুগন্ধ অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা একদম নাজুক, লিফটে ময়লা পানি, খালি বোতল ও খালি বালতিতে পানি জমে দুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বর্জ্য ব্যবস্থা ও নাজুক। জননী ডায়গনস্টিক সেন্টার ট্রেড লাইসেন্স ঠিক আছে, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ভালো, ল্যাব রুম পরিস্কার পরিচ্চন্ন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভালো, তবে মূল্য তালিকার চেয়ে বাড়তি টাকা আদায় করায় তাদেরকে সর্তক করা হয়।
ফেনী পৌরসভার পরির্দশন টিমে আরো ছিলেন কাউন্সিলর মাহাতাব উদ্দিন মুন্না, জয়নাল আবেদিন লিটন, ফেনী জেলা হাসপাতাল ওর্নাস এসেসিয়েশনের সভাপতি হারুন উর রশিদ, ফেনী পৌরসভার মেডিকেল অফিসার কৃষ্ণপদ সাহা, স্যানেটারী ইন্সপেক্টর কৃষ্ণময় বণিক, পৌর কর্মকতা সুজিত কুমার আচার্য্য।
ফেনী পৌরসভার পরির্দশন টিমের আহবায়ক কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী বলেন, প্রথম বার পরিদর্শন করে সতর্ক করা হচ্ছে। নিদিষ্ট সময় সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিদর্শন টিমের এই কার্যক্রম নিয়মিত চলবে।
সম্পাদনা : এএএম/এপি