ফেনীর দাগনভূঞায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম খুরশিদ আলম (৩৫)। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন অটোরিকসা চালক।
গত বুধবার রাতে খুরশিদ ও রাসেল নামে তার বন্ধুসহ দুইজন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার ওই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে মামলা করে। পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে খুরশিদকে গ্রেপ্তার করেন এবং শুক্রবার ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই কিশোরী বুধবার বিকেলে ডাক্তার দেখাতে ফেনী শহরে যায়। বুধবার রাত ৯টার দিকে ফেনীর মহিপাল এলাকা থেকে বাড়ী যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি চালিত অটোরিকসা ওঠে বসেন। অটোরিকসায় আরও একজন যাত্রী ছিল। পথিমধ্যে ওই যাত্রীর গন্তব্য শেষ হওয়ায় তিনি নেমে চলে যান। এরপর ওই কিশোরী ছিল অটোরিকসায় একমাত্র যাত্রী। পুরুষ যাত্রী নেমে যাওয়ার পর অটোরিকসা চালক খুরশিদ ওই কিশোরী নিয়ে নানা ভাবে সময় ক্ষেপন করেন এবং রাত প্রায় ১টার দিকে কিশোরীকে দাগনভূঞা উপজেলার খুশীপুর গ্রামে নিজের বাড়ীতে নিয়ে যায়। খুরশিদ মুঠোফোনে তার বন্ধু মো. রাসেলকে বাড়ীতে নিয়ে আসে। রাতে তারা দুই বন্ধু খুরশিদ ও রাসেল মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এক সুযোগে ওই কিশোরী খুরশিদের বাড়ী থেকে পালিয়ে পাশের এক বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়ীতে যায় এবং পরে দাগনভূঞা থানায় মামলা করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদস্ত) পার্থ প্রতীম দেব কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের এবং একজন আসামীকে গ্রেপ্তার ও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার তদন্ত ও অপর আসামী রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ফেনী ট্রিবিউন/এএএম/এটি